নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যত ধরনের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আছে সেগুলো অপসারণে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আগামীকাল এবং পরশু দিনের মধ্যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদির অনুমোদন নিয়ে নিন। যারা অনুমোদন নেবেন তাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি ভাঙ্গা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে সকল বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, যতই ক্ষমতাবান হন না কেন, মাসল ম্যান হন না কেন, ভেঙ্গে দেওয়া হবে যদি অনুমোদন না নেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই শহরে সুন্দর ভাবে থাকতে চাই, কিন্তু কেউ কেউ নিজের স্বার্থে, সকলের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন, প্রজেক্ট সাইন, ব্যানার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি দিয়ে লিখে রেখেছেন, ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করেন, ভালো কথা, কিন্তু সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। ঢাকা শহরকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি, আমরা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, বর্জ্য অপসারণের কাজ করছি, কিন্তু ট্যাক্স দেব না, এটা হতে পারে না। এটি হতে দেওয়া যাবে না।
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে মেয়র বলেন, ঢাকার পার্ক, খেলার মাঠ উন্নয়ন আনিস ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল। তাঁর প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা একে একে সফল করব। এই পার্কে ১৭ শত গাছ আছে। কোন গাছকে কাটা হয়নি। জনগণকে, স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে এই পার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। এই পার্কে ইনডোর জিমনেশিয়াম আছে। আউটডোরেও জিমনেশিয়াম আছে। এই পার্কের ভেতরে একটি কফিশপও আছে। এই পার্কে আসলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। গোস্বা নিবারণের জন্য ঘরে থাকতে হবে না, এই পার্কে আসলেই হবে। এখানে একটি মুজিব কর্নার রয়েছে, একটি লাইব্রেরি আছে সেখানে।
মেয়র বলেন, এই শহরকে আমরা পরিষ্কার করতে চাই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে ঢাকা শহরকে পরিষ্কার রাখা। ঢাকা শহরকে পরিষ্কার রাখার জন্য আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা, আর সোনার বাংলার রাজধানী এই ঢাকা শহর। ঢাকা শহরকে পরিষ্কার রাখতেই হবে।
ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ১ অক্টোবর থেকে গুলশান থেকে ঝুলন্ত তার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সার্ভিস প্রোভাইডারগণ অতি মুনাফা লাভের জন্য এগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দেয়। এই শহরকে নোংরা করে।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে মেয়র বলেন, এই পার্ক উন্নয়নে ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই পার্কটি দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এই পার্কের সম্পদ আমাদের সকলের, এখানে কিছু নষ্ট করা যাবে না। সবাই মিলে এটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
ডিএনসিসি’র ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ, স্থপতি ইকবাল হাবিব বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এবং রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস একটি করে গাছের চারা রোপন করেন এবং পরে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে পার্কটি ঘুরে দেখান।